নামকরণঃ জনশ্রুতি আছে যে, বর্তমান কানাইঘাট বাজারের তীরবর্তী সুরমা নদীর ঘাটে কানাই নামক একজন মাঝির নামানুসারে ‘কানাইরঘাট’ নামকরণ করা হয়। মতান্তরে কানাইঘাট উপজেলার মুলাগুল এলাকার কানাই চৌঃ নামক জৈন্তা রাজ দরবারের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নামানুসারে কানাইঘাট উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে।
ভৌগোলিক অবস্থানঃ কানাইঘাট উপজেলার উত্তরে ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্য, পশ্চিমে জৈন্তাপুর উপজেলা, দক্ষিণে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং পূর্বে জকিগঞ্জ উপজেলা অবস্থিত।
উপজেলার ইতিহাসঃ প্রাচীণকালে কানাইঘাট স্বাধীন সার্বভৌম জৈন্তা রাজ্যের অংশ থাকায় স্বাভাবিক কারণে শিক্ষা, সংস্কৃতি, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য উপজেলা থেকে কিছুটা ভিন্ন। বৃটিশরা ভারত উপমহাদেশ দখলের প্রায় ৯০ বছর পর এই জৈন্তা রাজ্য তাদের আয়ত্তে নেয়। বর্তমানে কানাইঘাট উপজেলায় ০৯ টি ইউনিয়ন রয়েছে। পূর্বে সাতবাঁক, মুলাগুল, ফালজুর, চতুল, চাউরা, বাজেরাজ, পশ্চিমভাগ, বড়দেশ, বাউরভাগও বর্ণফৌদ এ ১০ টি পরগণা নিয়ে ০৯ টি ইউনিয়ন গঠিত হয়েছিল। সাতবাঁক পরগণা বর্তমান দিঘীরপার পূর্ব ও ৪ নং সাতবাঁক ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল যা সুরমা নদীর দক্ষিণ তীরে মোগল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৮৩৫ সালে ১৬ মার্চ জৈন্তা বৃটিশ অধিকারে আসে। ফলে মুসলমানেরা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পায়। জৈন্তা রাজ্যের পতনের পর ১৮৩৬ সাল হতে কানাইঘাটসহ জৈন্তা সিলেট জেলা কালেক্টরেটের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। বৃটিশ সরকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ১৮৪১ সালে মুলাগুল পরগণার লক্ষিপুর মৌজার ঝর্ণা টিলায় থানা স্থাপন করেন। তখন থানাকে পুলিশ স্টেশন বলা হতো। ১৮৮০ সালে মুলাগুল হতে কানাইঘাট স্থানান্তরিত হওয়ার পর থানা ও অন্যান্য প্রশাসনিক অফিস ক্রমান্বয়ে বর্তমান কানাইঘাট সদরে গড়ে ওঠে। ১৯০৫ সাল হতে মাধ্যমিক স্কুল, মাদরাসা এবং মসজিদ নির্মাণ কানাইঘাটে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং তখন থেকে অদ্যাবধি শক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে শিক্ষার হার অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৪/০৩/১৯৮৩ তারিখ হতে কানাইঘাট থানা উপজেলায় উন্নীত হওয়ার পর অত্র উপজেলায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য আর্থ সামাজিক অবস্থার উত্তেরোত্তর উন্নতি ঘটেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস